সুস্থ জীবনের জন্য সুস্থ শরীরের পাশাপাশি প্রয়োজন সুস্থ মনও। মানসিকভাবে ভালো না থাকলে তা শরীরের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আপনি কি জানেন, মন খারাপের সমাধান লুকিয়ে আছে সকালেই।
বর্তমানে সময়ে মন খারাপ হওয়ার প্রবণতা সবার মাঝেই দেখা যায়। এ মন খারাপ চরমে পৌঁছালে এর নাম তখন হয়ে যায় ‘ডিপ্রেশন’ (বিষণ্ণতা) । ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের টানাপোড়েনে এখন অনেকেই ডিপ্রেশনের শিকার। ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা মানুষকে ধীরে ধীরে অক্ষমতার দিকে ঠেলে দেয়। দীর্ঘদিন কেউ বিষণ্ণতায় ভুগতে থাকলে, পরে তা বড় অসুখে পরিণত হতে পারে। তখন সেই মানসিক চাপ মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। এটি সুস্থ চিন্তাধারার বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই মানসিক চাপকে প্রথম থেকেই নির্মূল করে ফেলা উচিত। সকালের কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাসেই দূর হতে পারে ডিপ্রেশনের মতো মানসিক সমস্যা। ভারতীয় লাইফস্টাইল বিষয়ক সংবাদমাধ্যম বোল্ডস্কাইয়ের প্রতিবেদনে বিষণ্ণতা দূর করার জন্য সহজ কয়েকটি উপায় তুলে ধরা হয়েছে।
১। সূর্যের আলোয় দাঁড়ান: সূর্যের আলো আমাদের শরীরে সুখী হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। যারা ডিপ্রেশনে আক্রান্ত তাদের জন্য দারুণ কাজ করে এ পদ্ধতি।
মেলাটোনিন শরীরে ঘুমের সাইকেল বা চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। মেলাটোনিন হরমোন অন্ধকারে নিঃসৃত হয়। সূর্যাস্তের পরে অন্ধকার নামার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোন ক্ষরণ বাড়তে থাকে। আবার, দিনের বেলায় সূর্যের আলোয় মেলাটোনিন ক্ষরণ কমে যায়। ফলে ঘুমের ঘোর কাটে। তাই, মেলাটোনিনের মাত্রা কমাতে কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের আলোয় দাঁড়ান। এতে মেজাজ উন্নত হবে।
২। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লক-কে সঠিকভাবে চলতে এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করবে। এটি ডিপ্রেশনের রোগীদের জন্য সহায়ক হতে পারে।
৩। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম: প্রতিদিন সকাল বেলা কিছুক্ষণ শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে সারা দিন মনকে কাজে ফোকাস রাখতে, উদ্বেগ এবং স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করবে।
৪। শরীরচর্চা: শরীরচর্চা বা ব্যায়াম বিষণ্ণতার চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। কারণ শরীরচর্চা করলে এন্ডোরফিন হরমোন ক্ষরণ হয়, যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
৫। সকালের খাবার: সকালের খাবার না খাওয়া শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই সকালে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। প্রতিদিন সকালে সুষম খাবার খাওয়া, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় সব এনার্জি জোগাতে সহায়তা করে।
dh