বাংলা গল্প মায়াবতী Romantic Love Story in Bengali রোমান্টিক গল্প
বাংলা গল্প মায়াবতী Romantic Love Story in Bengali |
গল্পঃ মায়াবতী
জান্নাতুল ফেরদৌস সূচনা
পর্বঃ৫
নিশু আর মিশির ঝগড়াটা এখন বন্ধুত্বে পরিণত হয়ে গেছে। এখন মিশির কোনো সমস্যা হয় না কথা বলতে। এমনকি নিশু মিশিকে পেত্নি ডাকলেও মিশি এতো রাগ করে না। তবে নিশু এখনো মিশিকে দেখতে পারে নি। নিশু যখনি মিশিকে দেখার জন্য বলছে তখন মিশি তার কথা এড়িয়ে যায়। কিন্তু নিশু এখন জেদ ধরে বসে সে একবার মিশিকে দেখবে।
- এই মেয়ে এই, তোমার একটা ছবি দিলে কি এমন ক্ষতি হয়??
- আপনারা ছেলেরা এমন কেনো?? কিছুদিন কথা বলার পর বার বার ছবি চান?
- দেখো আমরা তো ফেন্ডস, তাই না। এমন তোমার ছবি দেখলে কি তোমাকে খেয়ে ফেলবো?? তুমি আমাকে দেখছো না এবার আমাকে তোমাকে দেখার সুযোগ দাও?? প্লিজ।
- আমি কাউকে ছবি দেই না ফেসবুকে।
- আমাকে দাও প্লিজ। তোমার মতো পেত্নিকে একবার দেখার ইচ্ছা জেগেছে আমার। প্লিজ।
- পেত্নিও ডাকেন আবার ছবিও চান??
- আচ্ছা ছবি দিলে আর পেত্নি ডাকবো না।
নিশুর অনেক রিকুয়েষ্ট এর পর মিশি একটা ছবি দিলো তার। নিশু মিশির ছবি দেখে নির্বাক হয়ে গেলো। দুচোখ ভরে মিশিকে দেখতে লাগলো। এই মেয়েকে সে পেত্নি বলেছে। এতো মায়াবিনী। যাকে দেখলে যে কেউ মায়ায় পড়ে যাবে। মিশিকে দেখায় নিশু প্রেমে পড়ে গেছে। এ যেন রকম প্রেম যা মুখের ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। মিশিকে সে সারাজীবনের জন্য পেতে যায় নিশু।
কিছুক্ষণ মেসেজ
- কি হলো কিছু বলছেন না যে??
নিশু ঘোর কাটলো মেসেজের শব্দে
- হ্যা।
- কি হ্যা? ছবি দেওয়ার পর আর কিছু বললেন না যে। ছবিতে কি আমাকে অনেক পঁচা লাগছে?? পেত্নির মতো দেখা যাচ্ছে??
- না। তুমি অনেক সুন্দরী।
কথাটা শুনে কিছু লজ্জা পেল মিশি
- এখন অবশ্য পেত্নী বলে ডাকবেন না।
- না। তবে আমি তোমায় আর একটা নাম দিতে পারি??
- কি নাম??
- মায়াবতী।
- মায়াবতী!! হঠাৎ এই নামের উদ্দেশ্য??
- তোমার চোখের মায়ায় পড়ে গেছি তাই।
- এই মিস্টার, আপনি আবার আমার প্রেমে পড়লেন না তো??
- যদি বলি হ্যা।
- কিহ!! এটা কখনই সম্ভব না।
- কেনো??
- কারণ আমার বিএফ আছে।
- কিহ!! কই আগে তো কখনো বলো নি এই কথা??
- তো এখন বলছি তো। আমরা শুধু ফেন্ডস, এর থেকে বেশি কিছু আমাদের মধ্যে হতে পারবে না মনে রাখবেন।
মিশি অফলাইন হয়ে গেল।
কথাটা শুনে নিশুর মনটাই ভেঙে গেল। যে মেয়েকে দেখে এই প্রথম এমন অনুভব করলো সে আগের থেকেই কারোর। নিশুর মনে হচ্ছে তার বুকে কেউ পাথর দিয়ে আঘাত করছে। থাকতে পারছে না আর সে।
ভার্সিটি শেষে বাসায় ফিরছে নয়না। রিকশা না পাওয়ার তাকে একা একা রাস্তায় হেটে হেটে আসছে নয়না। হঠাৎ অভির সাথে দেখা তার।
- কোথায় যাচ্ছো??
- বাসায় যাচ্ছিলাম।
- একা একা??
- আসলে আমার ফেন্ডসদের মধ্যে আমাদের এলাকার দিকে কারো বাসা নেই। আমি রিকসা দিয়ে যাতায়াত করি, কিন্তু আজকে কোনো রিকশা পেলাম না।
- তুমি তো আমার সাথেই যেতে পারো, আমার বাসাও ওদিকেই।
- ওহ, তাহলে একসাথে যাওয়া যাবে।
- হুম। আচ্ছা সম্পর্কে বলো নয়না। কে কে আছে বাসায় তোমার??
- আম্মু,আব্বু,ভাইয়া আর আমি।
- হুম। হ্যাপি ফ্যামেলি।
- কলেজে কি কোনো ছেলে তোমাকে ডিস্টাব করেছে??
- নাহ।
- কেউ করলে বলবে কিন্তু আমায়।
- ওকে।
-আচ্ছা এটা কথা জিজ্ঞাসা করবো??
- কি কথা??
- তোমার কি কোনো বিএফ আছে??
- নাহ। এখনো নেই। কিন্তু হঠাৎ এই প্রশ্ন??
- নাহ। এমনি।
অভির মনে মনে নাচতে ইচ্ছা করছে। যাক আমার রাস্তা ক্লেয়ার।এখন একটা ভালো দিন দেখে প্রোপজ করবো তোমায় আমার নীল পরী।