বাংলা গল্প মায়াবতী Bangla Romantic Golpo রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
Bangla Romantic Golpo রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প |
গল্পঃ মায়াবতী
জান্নাতুল ফেরদৌস সূচনা
পর্বঃ৪
ভার্সিটিতে আজ নবীনবরণ। বলেনটিয়ার হিসেবে অনুষ্ঠানের দায়িত্বে আছে অভি। একটু পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে।তাই সব কিছু ঠিক আছে কিনা দেখে নিচ্ছিল অভি। হঠাৎ তার চোখ পড়লো নীল শাড়ি পড়া সেই মেয়েটির উপর।
হা করে তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে সে। মেয়েটিকে দেখে তার হার্টবিট বেড়ে গেছে। মেয়েটির হাসি,তার চাহনি অভিকে পাগল করে তুলছে।
হঠাৎ তার বন্ধু শুভর ডাকে অভি বাস্তবে ফিরে আসলো।
- কিরে, এমন হা করে কাকে দেখছিছ?? কাউকে পছন্দ হলো নাকি??
বন্ধুর কথায় একটু লজ্জা পেয়ে
- আরে তেমন কিছু না। সব কিছু ঠিক আছে কিনা তা দেখছিলাম।
- বন্ধু সবি বুঝি। এখন বল কোন মেয়েটাকে মনে ধরেছে তোর??
- ওই যে নীল শাড়ি পড়া মেয়েটা।
- আরে ওই মেয়েটা! ওকে তো আমি চিনি। আমাদের এলাকার মেয়ে। এই ভার্সিটিতে এবার ভর্তি হয়েছে। অনার্স ১ বর্ষে পড়ে।
- নাম কি মেয়েটার??
- নয়না।
- খুব অসাধারণ একটা নাম। বন্ধু একটু পরিচয় করিয়ে দিবি??
- আগে বল ট্রিট দিবি??
- ওকে দিব।
- ওকে তো কাল রেডি থাকিছ।
মিশি প্রোফাইলে নিশুর পোষ্ট দেখে কিছুটা অবাকই হলো। এতো ঝগড়াঝাটির পর ছেলেটি ক্ষমা চাইছে তার কাছে। নাহ একবার সুযোগ তো দেওয়াই যায়।
মিশি ব্লক খুলে দিলো।
একটুপর মেসেজ নিশুর
- হাই পেত্নি। ধন্যবাদ ব্লকটা খুলার জন্য
- আবার পেত্নি বলছেন??
- তো কি ডাকবো?
- মিশি বলে ডাকবেন।
- মিশি নাম তোমার সাথে যায় না।
- কেন??
- তুমি যে ঝগড়াটে,তোমাকে পেত্নি নামেই যায়। মিশি নাম তো মিষ্টি মেয়েদের হয়।
- তো আমি কি মিষ্টি মেয়ে না??
- কোন দিক দিয়ে মনে হয় না তা, পেত্নি
- কিহ! দেখেন আরেকবার যদি পেত্নি বলেন তো এইবার ফেইসবুক থেকেই ব্লক দিয়ে দিবো।
- আচ্ছা, আর ডাকবো না। আমরা কি ফেন্ডস হতে পারি??
- কখনই না। আপনি যে ঝগড়াটে আপনার ফেন্ড হওয়ার কোনো ইচ্ছা নাই আমার।
- দেখো তুমি যদি আমাকে নেশাখোর না বলতে তাহলে ঝগড়াটা হতো না।
- আপনি সিগারেট খান তাইতো বলছি আমি।
- দেখো জীবনে অনেক ছ্যাকা খাইছি, তাই একটু সিগারেট খাইতেই হয়। এতে নেশাখোর বলবা কেন তুমি??
- ছ্যাকা খাইলে সিগারেট খাইতে হয় এটা কোথায় লিখা আছে?? ভাই।
- লিখা নাই। এটা এখন ট্যান্ড। আর খবরদার ভাই বলবা না আমাকে। আমার বোন আছে, আর দরকার নাই।
- এটা কোনো কথা??
- হ্যা। তো এখন থেকে আমরা ফেন্ডস??
- ফেন্ডস হতে হলে সিগারেট ছাড়তে হবে?
- যেদিন আমার বউ বলবে সেদিন ছাড়বো। এখন ছাড়বো না। আর আমি কি তোমার মুখের সামনে বসে সিগারেট খাই যে তোমার এতো অসুবিধা??
মিশি কি বলবে বুজে পাচ্ছে না। কোন অধিকারেই বা সে নিশুকে সিগারেট না খাওয়ার কথা বলছে। অসংখ্য ভাবনা তার মাথায় এখন। হঠাৎ আবার মেসেজ
- কি হলো?? কোনো উত্তর আসছে না যে??
এবার রাজি মিশি হয়ে গেল।
- ওকে।
নয়না ভার্সিটির কেন্টিনে বসে আড্ডা দিচ্ছে বন্ধুদের সাথে। হঠাৎ অভির আগমন। সাথে শুভকে নিয়ে।
- হাই নয়না।
- আরে শুভ ভাইয়া যে।
- কি কেমন লাগছে ক্যাপাস??
- হে ভালো।
- তোমাকে আমার বন্ধুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। এর নাম অভি।
অভি- হ্যালো।
নয়নার মনে পড়ে যায় কালকের ঘটনা। মুচকি হেসে,
নয়না- আপনাকেই তো চায়ের দোকানে দেখেছিলাম।
অভি- হ্যা।
শুভ- শুনো নয়না, ভার্সিটিতে সিনিয়র হিসেবে আমাদের অনেক নাম এখানে । কোনো সমস্যায় পড়লে বলো।
নয়না- ওকে ভাইয়া।
অভির দিকে তকিয়ে কিছুটা মুচকি হাসি দিল নয়না। অভি এই হাসির প্রেমেই গেছে তার। এই হাসির জন্য সবকিছু করতে পারে এখন সে।